ঘনকুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়েছে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা। খুব কাছের মানুষও দেখা যাচ্ছিল না। আজ সোমবার সকাল ৯টায় ডাকবাংলো ঘাট এলাকায়।
বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলে ঘনকুয়াশা পড়েছে। সড়ক-নদীপথসহ সর্বত্রই যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। কুয়াশার কারণে কাছের মানুষ ও যানবাহন দেখা যাচ্ছিল না। যানবাহন চলছে হেট লাইট জ্বালিয়ে।
দুরপাল্পার যানবাহন গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে বিলম্বে। আজ সোমবার সকালে যারা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছেন তারা নানা দুর্ভোগে পড়েন। বাগেরহাটে আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকেও কুয়াশা দেখা গেছে। ঘনকুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ বলছেন, বাগেরহাটে এর আগে তাঁরা এত কুয়াশা দেখেননি। সকাল ১০টার দিকেও কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে শহর। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। কাছের মানুষ এবং যানবাহন দেখা যাচ্ছে না।
সড়কে যানবাহন চলাচল অনেক কম এবং যেগুলো চলছে তারা হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে চালাচ্ছেন। নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। এদিকে কৃষকরা ঘনকুয়াশার কারণে তাদের বোরো ধানের বীজতলা এবং আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শংকর কুমার মজুমদার জানান, ‘ঘনকুয়াশা এই ভাবে কয়েকদিন পড়তে থাকলে বোরো ধানের বীজতলা লাল হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। একই সাথে আলু ক্ষেতে পোকার আক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে চাষিদেরকে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর-রশীদ জানান, ‘রবিবার মধ্যে রাত থেকে ঘণ ও মাঝারি কুয়াশা পড়েছে এই অঞ্চলে। সোমবার সকালেও কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা ছিল বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা। কুয়াশার কারণে ১০০ মিটার বা তার কাছের মানুষ এবং সড়কে চলাচলকারি যানবাহন দেখা যাচ্ছিল না। গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবারও এমন কুয়াশা পড়তে পারে বলে এ আবহাওয়া কর্মকর্তা জানান।’